মাটির মসজিদ টু আলম মঞ্জিল-

২৬ জুলাই '১৫ ঢাকা মামার বাসা ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে মাত্রই ভুয়াপুর বাসস্ট্যান্ড এ নামলাম।নামা মাত্রই আমার ফোনটা বেজে উঠলো এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল রিসিভ করলাম শুনলাম তিনি ওয়ালটন গ্রুপ থেকে কল দিছে কারণ আগামিকাল সকাল ১০.০০ টায় খিলগাঁ অফিসে যেতে হবে।এখানে বলে রাখা ভাল যে আমার এক বন্ধু মুস্তাকের মাধ্যমে সিভি দেয়া হয়েছিল তিন মাস আগে।যথারীতি সকাল ১০ টায় আমি অফিসে উপস্থিত। ১০ টায় মুশারফ ভাই আমাদের লিখিত পরিক্ষা নিলেন আমার মনে আছে অই পরিক্ষা ছিল ৫০ নাম্বারের আমি খুব সম্ভবত ৪৬ থেকে ৪৭ পেয়েছিলাম।তারপর লাঞ্চের পর শিবলি স্যার এর রুমে ভাইভা এর জন্য ডাকা হল।ভাইভা বোর্ড এ ছিলেন আমার তৎকালীন এস সি এম এর হেড স্যার সোহেল আযম স্যার তিনি এবং শিবলি স্যার আমাকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন আমিও ঠিক ঠাক উত্তর দিলাম।আমার মনে হল ভাইভাও ভাল হল। তারপর ডাকা হল আইটি পরিক্ষার  জন্য নাজমুল ভাইয়ের রুমে আইটি পরিক্ষা খুব একটা ভাল হল না তখন অতটা এক্সেল জানতাম না। আমাকে বলা হল এক্সেল শিখে আসতে।আবার ২৯ জুলাই এ আসলাম এক্সেল শিখে। এইবার আবার ভাইভা এইবার ভাইভা বোর্ড এ গিয়ে দেখি নতুন একটা স্যার তিনি আর কেও না তানিন স্যার পরবর্তীতে যিনি আমার আদর্শ এবং আমার হাতে খড়ি দেয়। যাই হোক উনি আমাকে অনেক কঠিন কঠিন প্রশ্ন করা শুরু করলেন আমিও দিতে থাকলাম। উনি ভাইভা শেষে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় আমাকে ডেকে বললেন যে আপনি কালকেই জয়েন করেন আর এক্সেল শিখেন ভালভাবে। তারপর দিন অফিসে আসলাম এসে রকিবুল ভাইয়ের পিছনে পিছিনে ঘুরতে লাগলাম উনি কখন জয়েন করাবেন ঠিক তখনি তানিন স্যার এর সাথে দেখা উনি বললেন জইন করেছেন আমি বললাম না তখন তিনি রকিবুল ভাইয়ের কছে নিয়ে গিয়ে বললেন উনাকে এখনি জয়েন করান ঠিক তখনি উনি আমাকে জইন করালেন।জয়েন করার পর উনি বললেন ৫ তলায় জান ওইখানে সোহেল আযম স্যার আছে উনাকে বলবেন যে আমি নতুন আপনাদের বিভাগে জয়েন করেছি।কিন্তু আমি উনার রুমে গিয়ে দেখি উনি নাই তাই রুমের সামনে অপেক্ষা করসিলাম তখন দেখি তানিন স্যার উনি আমাকে বললেন আমার সাথে আসেন।তারপর উনার সাথে গেলাম উনি আমাকে নিয়ে গেলেন সাদ্দাম ভাই এর কাছে আর সাদ্দাম ভাই কে বললেন আমাকে কাজ শিখাতে। ওইদিনের মত অফিস শেষ। তারপর দিন আর একজন নতুন আসলো তিনি শুভ ভাই। তিনিও আমাদের সাথে কাজ শুরু করলেন।
এইভাবে চলতে থাকল আর তানিন স্যার এর প্রতি আমাদের মুগ্ধতা বাড়তেই থাকল খুব ধীরে ধীরে আমাদেরকে দায়িত্ব অর্পণ করতে থাকল।

 আমরা তিন সাদ্দাম ভাই,নাজমুল ভাই,আর আমি একত্রে এক রুমে বসতাম আর মাঝে মাঝে শুভ ভাই ডেস্কেই ঘুমাত একদিন তানিন স্যার দেখেই ফেলল।


এইভাবে চলতে চলতে তানিন স্যার একদিন বলল মিলন তুমি খিলগাঁ এ তারিক ভাই এর সাথে কাজ করবা আর আমাকে প্রতিদিন  আপডেট দিবা।এই বলে নিয়ে গেল তিন তলায় তারিক স্যার এর রুমে গিয়ে উনার সাথে আর রায়হান স্যার এর সাথে পরিচয় হল।ধীরে ধীরে ওইখানের অনেকের সাথে ব্রজ সির,সাজ্জাদ ভাই, হিমেল ভাই,তুহিন স্যার আর অনেকের সাথে পরিচয় হল।একদিন গেলাম সেন্ট্রাল স্টোরে তানিন স্যার এর সাথে উনি ওইখানে সবার সাথে মানে আলামিন ,রহিম,মনির,শাহনুর,অভিসেক ভাইদের সাথে পরিচিত হলাম।
তারিক স্যার এর সাথে কাজ করতে করতেই তুহিন স্যার,জাহিদ স্যার উনাদের সাথে পরিচয় হল।

এইভাবে সাত মাস চলার পরই শুনি আমাদের হেড স্যার সোহেল স্যার বিদায় নিয়েছেন আমাদের ছেড়ে।কিছুদিন পরই আসলো হেড স্যার হিসাবে তাসলিম সির।উনি যেন প্রথম থেকেই আমাকে অন্য ভাবে দেখত খুবি আদর করতো। এর কিছুদিন পর রাজু স্যার মুস্তাক স্যার আসলো। ইতিমধ্যে রায়হান স্যার আর তারিক স্যার এর সাথে আমরা অনেক মিশে গেছি।আর তানিন স্যার তো সব সময় আমাদের সুপারভাইসর হিসাবে আছেনই। তারপর অফিসের সবাই মিলে বাইরে খাওয়া রায়হান স্যার এর মাধ্যমে শুরু হল।


তারপর চলে আসলো রমজান মাস।রমজান মাসে রায়হান স্যার আর তাসলিম স্যার এর উদ্দকে প্রায় প্রতিদিনই ইফতার করা হইত। মিস করতেন তানিন স্যার তার পরিবারের জন্য।


আর বাইরে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া তো চলতোই-


এইবার সবাই অনেকদিন কাজ করার পর আনন্দ করার জন্য গেলাম মিরপুর এ ক্রিকেট খেলার জন্য খেললাম ক্রিকেট জিতলাম সবাই।




এরপর কাজ করতে করতে কখন যেন মুস্তাক স্যার এর সাথে একটা ভাল সম্পর্ক হয়ে গেছে।আর রাজু স্যার এর কাছে থেকে এক্সেল শেখা ছিল অন্য রকম মজার।আর তাসলিম স্যার ও আপন হয়ে গিয়াছিল।



মাঝে মাঝে তানিন স্যার এর বকা আর সাদ্দাম ভাই আর শুভ ভাই এর ঝগড়া করতে ভালই লাগত।আবার অফিস শেষে খিলগাঁও এর রাস্তায় একত্রে বসে গেমস খেলা...দেখা আর নুসরাতকে(আমাদের দেয়া নাম) নিয়ে আলাপ করা  বাইরে খেতে যাওয়া।


এর মধ্যে আবার সালমান ভাই এর সেবা যত্ন তো ছিলই। এরপর আমাদের মাটির মসজিদ  এর কাছের অফিস ছেড়ে নতুন অফিস আলম মঞ্জিলে সবাইকে ছলে আসতে হল।এইখানে এসেই রায়হান স্যার কে হারাতে হল কারণ রায়হান স্যার অন্য একটা বিভাগে চলে গেলেন। কিন্তু শীতকাল থাকায় ব্যাটমিন্টন খেলার সুবাধে সবার সাথে আবার দেখা হত রাব্বি ভাই ভাভিকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে খেলতে চলে আসত খিলগাঁ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।



আর বৃষ্টি হলেই আমার হাতের খিচুরি রান্না করা খিচুরি মিস হত না।আমরা শুধুই বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতাম কখন বৃষ্টি হবে কখন খিচুরি খাব।

আর তাসলিম স্যার আমাকেই তার রুম থেকে বেশি ডেকে ডেকে বলতেন অমুককে পাঠিয়ে দেন এই ব্যাপারটা আমার অনেক ভাল লাগত।আর নামাজের সময় সবাই একত্রে জামতের সহিত নামাজ পরতাম নামাজ পরাতেন রিমন স্যার ।



এইভাবেই ভালই চলতেছিল কিন্তু .........।।